নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি বাড়ি থেকে সামিয়া আক্তার সোহা নামে ১৫ মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার মা উর্মি আক্তার মুক্তাকে (২১) টয়লেটের ভেতর থেকে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকার একটি চার তলা ভবনের নিচতলার কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির বাবা শামীম আহমেদ রাজবাড়ী এলাকার বাড়িগ্রামের বাসিন্দা। তিন দিন আগে স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের ঝাউচর এলাকার মহসিন ব্যাপারীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন তিনি। শামীম মেঘনা গ্রুপ অব কোম্পানিতে চাকরি করেন।
শিশুটির বাবা শামীম বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতের ডিউটি শেষে সকাল সাড়ে ছয়টায় বাসায় ফিরে দেখি ভেতর থেকে দরজা আটকানো। অনেক চেষ্টার পর দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে আমার শিশুকন্যাকে মৃত অবস্থায় খাটের ওপর দেখতে পাই। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় আমার স্ত্রী টয়লেটের ভেতরে পড়েছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।
তবে, ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মহসিন বেপারী বলেন, তিন দিন আগে শামীম আহমেদ বাড়িটিতে স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে নিয়ে ওঠেন।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক পংকজ কান্তি সরকার জানান, একটি কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই স্থান থেকে তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।