Monday, December 23, 2024

জলদস্যুরা এখনো মুক্তিপণ চায়নি, জানালেন জাহাজের ক্যাপ্টেন

আরও পড়ুন

জলদস্যুরা এখানো মুক্তিপণ চায়নি বলে এক ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছেন জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহের চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন আতিক উল্লাহ খান। তিনি আরও জানান, তারা সবাই সুস্থ আছেন। দস্যুরা এখানো তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক এস আর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরেুল করিম।

মেহেরেুল করিম বলেন, ‌‘ক্যাপ্টেনের ইমেইল পেয়েছি। জাহাজের সব নাবিক সুস্থ আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। দস্যুরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না। এখানো পর্যন্ত কোনো ধরণের আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়েও কথা বলেনি।’

আরও পড়ুনঃ  একে-৪৭ নেই, তবে লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে: মাংস বিক্রেতা খলিল

জাহাজের নোঙর তুলে সোমালিয়ার উপকূল গারাকাত থেকে অন্যত্র নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জলদস্যুরা—জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একদিন বিরতির পর আবারও চলতে শুরু করেছে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুদের নির্দেশনা অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে জাহাজের নোঙ্গর তুলে ফেলা হয়েছে। জাহাজটি এখন আরও উত্তরদিকে অগ্রসর হচ্ছে। জাহাজ নিয়ে তাদের পছন্দ মত কোনো নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছানোর পরই হয়তো দস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত বৃহস্পতিবার সোমালিয়ার গারাকাত উপকূল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে নোঙ্গর করেছিল। তবে জলদস্যুদের নির্দেশ অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার সকালে নোঙ্গর তুলে জাহাজটি পুনরায় চলতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুনঃ  রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে সটকে পড়লেন ‘কাচ্চি ভাই’য়ের লোকজন

এদিকে, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স (ইইউএনএভিএফওআর) পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে জানা গেছে। এই কার্যক্রমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন আটলান্আর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আটলান্টার সংগ্রহ করা তথ্যমতে জাহাজে অন্তত ১২ জন জলদস্যুকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও ছিনতাইয়ের সময় ২০ জন সশস্ত্র ব্যক্তির কথা বলা হয়েছিল। এর আগে ওই অঞ্চলে ‘এমভি রুয়েন’ নামের আরেকটি জাহাজ ছিনতাই করে জলদস্যুরা। ওই দলের সদস্যরাই এমভি আবদুল্লাহর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ