Monday, December 23, 2024

একে-৪৭ নেই, তবে লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে: মাংস বিক্রেতা খলিল

আরও পড়ুন

একে-৪৭ নেই, তবে লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে ঢাকার আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী খলিলুল রহমানের। একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর যমুনা নিউজকে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

মুঠোফোনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, একে-৪৭ এর কথা বলছিলেন, ওটা কি লাইসেন্স করা? জবাবে খলিল বলেন, নাই, ওটা নাই। ওটা মিথ্যা কথা। একটু বড় হওয়ার জন্য বলছিলাম। যাতে কেউ আমাকে হুমকি-ধামকি না দেয়।

মুঠোফোনে আরেক ব্যবসায়ীকে একে-৪৭ থাকার কথা জানান খলিল। ফোনালাপে অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে খলিল বলেন, ‘একটা মাংস ব্যবসায়ী, যেটা হলো খলিল। আমার যে আর্মস বা গান আছে তা বাংলাদেশের তিনটা ব্যক্তির কাছে আছে। সবচেয়ে দামি দামি গান। একে ফোরটি সেভেন এমপি মন্ত্রীর কাছেও নাই। আপনাদের গর্ব, এই একটা মাংস ব্যবসায়ী খলিল।’

আরও পড়ুনঃ  চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের

তিনি আরও বলেন, ‘এদিকের মাংস ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী। অনেক টাকার মালিক। আমার যদি কিছু না থাকতো তাহলে তারা অনেক ক্ষতি করতো। তারা অনেক দিক দিয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করতেছে। কত দোষ-গুণ খুঁজতেছে কিন্তু পাচ্ছে না। ওরা জানে আমার সামনে এলে ওরা কেউ বেঁচে থাকতে পারবে না।’

খলিল বলেন, ‘আমি মাংস ব্যবসায়ীদের এতটা ভালোবাসি যে, আমার দ্বারা কারও কোনো ক্ষতি হবে না। মাংস ব্যবসায়ীদের আমি পনেরো দিন পরপর এনে তেহারি-কাচ্ছি খাওয়াই। যা মন চায় খাওয়াই। আল্লাহ দিছে খা। আমার পোলাপানগুলো খাইলে আমার কেমন খুশি লাগে সেটা বলে বোঝাতে পারব না। ফাইভ স্টার হোটেলের যে প্লেট আছে সে রকম প্লেট আমি কিনে আনছি। আমার দোকানের লোকেরা খাবে। ওদের দিয়েই আমি টাকা ইনকাম করছি।’

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীর তেজগাঁওয়ে যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত

আলোচিত এ মাংস বিক্রেতা বলেন, ‘আমার গোস্তের দোকানে ৪টা লোক আছে ২৫ বছর ধরে। মাংস ব্যবসার শুরু থেকে। তারা আমারে ছেড়ে যায় না। আজ পর্যন্ত আমি আমার স্টাফদের একটা শালা বলেও গালি দেই নাই। আমার লস হলেও ওদের কোনো দিন বলি নাই যে, আজ আমার লস হয়ছে। আমার দোকানের একটা স্টাফ আমার বন্ধু, ২ কোটি টাকার মালিক।’

এ মাংস ব্যবসায়ীর ফোনালাপ ফাঁস হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। রাজধানীতে কম দামে মাংস বিক্রি করায় বিভিন্ন সময় হুঁমকি পাওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন খলিল। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ৫৯৫ থেকে আরও একশ টাকা বাড়িয়ে মাংস বিক্রি করেন খলিল। গতকাল রোববার পূর্বের দর ৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রির কথা জানান খলিল। ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা দরেই মাংস বিক্রি করবেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ