রাত পেরিয়ে দিনের আলো ফুটেছে। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে প্রায় ২২ ঘণ্টা। তাতেও দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চিনি পরিশোধন কারখানায় লাগা আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি স্টেশনের ১৪টি ইউনিটের ১৫০ জন সদস্য আগুন নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ভেতরে ঢুকতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুনে হতাহতের কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বলেন, অত্যাধুনিক যন্ত্র লুফ-৬০ দিয়ে আমরা যে পানি ছেটাচ্ছি তা টিনের চালেই ছেটানো যাচ্ছে। কিন্তু ভেতরে পানি দেওয়া যাচ্ছে না। টিনের ফাঁকে যতটুকু পানি প্রবেশ করেছে ততটুকু কালো আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য আমরা মালিকপক্ষকে অনুরোধ করেছি যেন টিনের চালটা ভেঙে ফেলা হয়। তাহলে এক পাশ থেকে অপর পাশে পানি দেওয়া সম্ভব হবে। তখনই ভেতরের আগুন নিভে যাবে। আমরা যদি ভেতরে প্রবেশ করতে পারি তাহলে বিকেল নাগাদ আপনাদের সুসংবাদ দিতে পারব।
সোমবার (৪ মার্চ) রাত ১১টার দিকে ওই চিনিকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করেছিল সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সদস্যরা। তবে সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরই আগুন নেভাতে কর্মরত দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, ভেতরে ১২০০ থেকে ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আগুন জ্বলছে। এত তাপমাত্রার মধ্যে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঢুকতে পারছেন না। চিনির কাঁচামালগুলো দাহ্য পদার্থ হওয়ায় সেগুলো না সরানো পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হবে না।
এস আলম গ্রুপের হেড অব অপারেশন আদিল রহমান বলেন, আগুন নেভাতে সবাই কাজ করছে। এখানে দেড় লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকায় এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগে।