Tuesday, July 15, 2025

অনেকের ইফতারে জুটবে না খেজুর!

আরও পড়ুন

আসছে রমজান। বাঙালি মুসলিমদের ইফতারে অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। খেজুর ছাড়া যেন ইফতার জমেই না। রাসুল (স.) নিজে ইফতারে খেজুর খেতেন এবং সাহাবিদেরও তিনি ইফতারে খেজুর খেতে বলেছেন। প্রচলিত আছে, ইফতারে খেজুর থাকলে সেটি বরকতময় হয়।

সুন্নত অনুসরণের পাশাপাশি ইফতারের খাবারে খেজুর সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ, সারা দিন রোজা রাখার ফলে পেট খালি থাকার কারণে শরীরে যে গ্লুকোজের ঘাততি দেখা দেয়, খেজুর তা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে। একই সঙ্গে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় সারা দিনের ক্লান্তি শেষে খেজুর খেলে দ্রুত দুর্বলতা কেটে যায়।

এবার অতি মুনাফালোভীদের কুনজর পড়েছে খেজুরের ওপর। রমজানকে সামনে রেখে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রাজধানীর খেজুরের আড়ৎ বাদামতলীতে গিয়ে দেখা যায়, খেজুরের বাজারে আগুন।

আরও পড়ুনঃ  কোথায় কেমন গরম পড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস

খেজুর আমদানিকারকদের অজুহাত অস্বাভাবিক আমদানি শুল্কের কারণে এবার ভোক্তার নাগালের বাইরে মিষ্টি খেজুর। বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। মধ্যবিত্তের ২০০ টাকার খালাস খেজুর বিক্রি হচ্ছে চারশো টাকায় আর উচ্চবিত্তের মাবরুম খেজুরের দাম ৫০০ টাকা বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার চারশো টাকা।

এবারের রমজানে ইফতারে খেজুর কিনতে কয়েকবার ভাবতে হবে ভোক্তাদের। কারণ, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু এই খাবারটির দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। তবে এটা সত্যি দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারেই এবার কমে গেছে ক্রেতা। রমজানের আগের সময়টাতে ক্রেতাশূন্য খেজুরের পাইকারি বাজার।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীর সোয়া ৩ লাখ ভবনের অনুমোদন নেই

রাজধানীর খুচরা বাজারে ফরিদা, খালাস, বরই, সায়ের, নাগাল জাতের খেজুরের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া, মেডজুল, মাবরুম, আম্বার, আজোয়া ও মরিয়ম খেজুরের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা দোকানির সঙ্গে ক্রেতাদের বিতণ্ডার সৃষ্টি হচ্ছে।

খেজুর আমদানিকারক মো. সেলিম বলেন, গত বছর ১০০ টাকার খেজুর আমদানি করলে শুল্ক কর দিতে হতো ১০ টাকা। চলতি অর্থবছরে সেই শুল্ক হার বেড়েছে হয়েছে ২৫ টাকা। এ ছাড়া ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়করের পাশাপাশি ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হচ্ছে। মোট ৫৩ শতাংশ বেশি কর দিতে হচ্ছে এই খেজুর আমদানিতে।

আরও পড়ুনঃ  বৈধ পথে ইউরোপ প্রবেশে সুখবর

ঢাকা মহানগর ফল আমদানিকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল করিম বলেন, গত বছর প্রতি কন্টেইনার খেজুরের আমদানি শুল্ক ছিল প্রায় ৪ লাখ টাকা। সেটি এখন বেড়ে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠে গেলেও এখন আবার তা কমিয়ে ৪৫ লাখ টাকা করেছে সরকার। সাথে এলসি খুলতে ডলার সংকট তো রয়েছেই। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের যুদ্ধের প্রভাব রয়েছে খেজুর আমদানির মূল্য বৃদ্ধিতে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোক্তার নাগালে খেজুর আনতে শুল্ক কমানোর বিকল্প নেই। তবে, সাধারণ ভোক্তাদের জন্য খেজুর কেনা প্রায় দুঃসাধ্য হলেও তালিকাভুক্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকিমূল্যে খেজুর বিক্রির কথা জানিয়েছে টিসিবি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ