নিজে একাই মইরা যাইতাম। কিন্তু এরে (স্ত্রী) যদি বাঁচাইয়া রাইখা যাই, সে আরও অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করবে। তাই মাইরা ফেললাম। অনেক স্বপ্ন ছিল রাসুলের সব সুন্নাহগুলো আমার জীবনে বাস্তবায়িত করমু। কিন্তু পারলাম না।’ স্ত্রী মীম আক্তারকে (১৭) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহের পাশে চিরকুট রেখে দরজায় তালা দিয়ে চলে যান স্বামী আল-আমিন (২৪)।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তর পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মীম আক্তার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মুলকান্দি (ছোট বেড়া খারুয়া) গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে। স্বামী আল-আমিন টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার কালাই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে আব্দুস সামাদের বাসার তিন তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্থানীয় সাদ টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করতেন।
খবর পেয়ে বিকেলে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে মীম আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে। মীম আক্তার এবং আল-আমিন আপন চাচাতো ভাই-বোন। গত ৯ মাস আগে তাদের বিবাহ হয়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আব্দুল কুদ্দুছ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, গত তিন মাস আগে আল-আমিন তার স্ত্রী মীম আক্তারকে নিয়ে ওই বাড়ির তিন তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। বুধবার দুপর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে সে তার স্ত্রীকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে দরজায় তালা মেরে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি তার অফিসের সহকর্মী আরিফকে ফোনে করে জানান স্ত্রী মীম আক্তারকে হত্যা করে লাশ ঘরে রেখে তালা দিয়ে চলে এসেছেন। দেয়ালে তার (স্ত্রীর) নানার নাম্বার লেখা আছে। তাদেরকে খবর দিয়ে যেন মরদেহ দিয়ে দেয়।
তবে কি কারণে তিনি তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন, তা কেউ জানাতে পারেনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। র্যাব, ডিবি এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।