ইরানের ইসফাহানে শুক্রবার সকালে হামলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই হামলাটি চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন। যদিও ইরানের পক্ষ থেকে শুধু ড্রোনের কথা বলা হয়েছে।
ইরানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুলরহিম মৌসাভি জানিয়েছেন, ইসফাহানে যেসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো ড্রোন ধ্বংস করার শব্দ ছিল। তিনি জানিয়েছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এসব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
তবে ইসরায়েল থেকে যে এসব ড্রোন ছোড়া হয়েছে সেটি এখনো স্বীকার করেনি ইরান। এছাড়া ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত করা হয়নি।
গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ওই হামলার পর থেকেই ইরানে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল দখলদার ইসরায়েল। এরমধ্যেই শুক্রবার সকালে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরানে হামলার আগে ইসরায়েল তাদের অবহিত করেছিল এবং জানিয়েছিল আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হামলা হবে। তবে তারা এতে সম্মতি দেয়নি।
ইসফাহানে যেসব ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে সেগুলো ইসরায়েল থেকে ছোড়া হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইরান। দেশটির এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপিকে বলেছেন, “এই ঘটনার বহিঃ সূত্র এখনো নিশ্চিত হয়নি। আমরা বাইরের কোনো হামলার স্বীকার হইনি। এখন মূলত হামলার বদলে অনুপ্রবেশ নিয়ে আলোচনা চলছে।”
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে দেশটির বিপ্লবী গার্ডের দুই জেনারেলসহ ৭ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলে বড় হামলা চালায় ইরান।
সূত্র: সিএনএন, এপি