ভারতের নাসিক থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমাদানি করছে সরকার। প্রথম ধাপে আগামী দুদিনের মধ্যে ১৬০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
শুল্ক অর্ধেক নেওয়ায় দেশে পেঁয়াজের দাম অনেক কমবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এদিকে আমদানির খবরে বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। আগামী দুদিনের মধ্যে ১৬০০ টন দেশে আসবে।
শুল্ক অর্ধেক নেওয়ায় দেশে পেঁয়াজের দাম অনেক কমবে বলেও জানান তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, শুল্ক কমানো হয়েছে, যা আগে ৮০০ ছিল এখন ৪০০ টাকা। চাহিদা এবং সরবরাহের ওপর নির্ভর করে বাকি পেঁয়াজও দেশে আনা হবে।
এদিকে আমদানির কথায় প্রভাব পড়েছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানান বিক্রেতা ও ক্রেতারা।
বর্তমানে দেশে যথেষ্ট রয়েছে পেঁয়াজের আবাদ। আমদানি করা পেঁঁয়াজ দেশে আসলে দাম অনেক কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আমদানি করা না হলে ঈদের পরে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
তবে দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট আবাদ থাকায় আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম বাড়ার প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত তিনদিন আগেও ৬০ টাকা দরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর ভারত হঠাৎ করেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকে পণ্যটির। সে সময় দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিতে ১৬০ ও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়।
তবে গেল ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেয় ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, এসব দেশে সরকারি পর্যায়ে জিটুজি প্রক্রিয়ায় রপ্তানি করা হবে পেঁয়াজ।