জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১৭ মার্চ) জোহর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদের আয়োজন করা হয়।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিভিন্ন সংগঠন, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মসজিদ পুরুষদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও প্রবেশ করেন। এ সময় উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম মসজিদের এক পাশে দাঁড়িয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
এদিকে উপাচার্যের মসজিদে প্রবেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতোমধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছেন।
সাজারুল ইসলাম শরিফ লিখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে একজন নারী বক্তব্য দিচ্ছে (পরিচয় সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি)। ইসলাম ধর্মে স্পষ্ট অবমাননা এটা। কুরআন এবং হাদিসের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক আর ইসলাম পরিপন্থী। ক্যাম্পাসে না হয় যা খুশি কর, শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের ইবাদতের স্থানেও ইসলাম পরিপন্থী কারবার? হে আল্লাহ তুমি আমাদের হেফাজত করো তোমার গজব থেকে…
নাজমুল ইসলাম মুন্না নামে আরেক সাবেক শিক্ষার্থী লিখেন, কনফার্ম জান্নাতি, চলুন সবাই আল্লামার পিছনে নামাজে দাঁড়াই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনিক স্বপ্নিল নামে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লিখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের নামাজের জন্য সংরক্ষিত স্থান রয়েছে। তবে, নামাজ শেষে বক্তৃতা করার সময় নারী-পুরুষের আলাদা পর্দার ব্যবস্থা করা যেত তাহলে, বিষয়টি নিয়ে কন্টোভার্সি তৈরি হত না। ভিসি ম্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে গিয়েছেন ঠিক আছে যেতেই পারেন পিছনেও কিন্তু আরো নারীরা আছেন। দয়া করে এখানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার চাইবেন না।
এ বিষয়ে জবি কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম কাম খতিব মো. ছালাহ উদ্দিন চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, আমি সকাল থেকেই উপাচার্যের জন্য মহিলাদের নামাজের স্থান নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বসার জায়গা করেছিলাম, কিন্তু প্রক্টর এসে বলেছেন ছোট জায়গায় উপাচার্য কেন বসবে? উপাচার্য মূল মসজিদেই বসবেন, আমি বাধ্য হয়েই সেটা মেনে নিয়েছি। মসজিদের ভিতর নারী পুরুষের একসঙ্গে অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল অদুদকে ফোন দেয়া হল তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।