গাঁজার বিভিন্ন চালান জব্দের খবর নিয়মিত পত্রিকায় দেখি আমরা। তেমনি এগুলোর রাখার অপরাধে অনেকে আটকও হোন। কিন্তু এখন যদি শোনেন ইঁদুরেরা গাঁজা খেয়েছে তখন নিশ্চয় চোখ কপালে উঠবে আপনার। চমকটা আরও বাড়বে যখন শুনবেন, এগুলো ছিল পুলিশের জব্দ করা গাঁজা। ঘটনাটি অবশ্য বাংলাদেশের নয়, মার্কিন মুলুকের।
ঘটনা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্স পুলিশ সদর দপ্তরের জরাজীর্ণ ভবনের একটি প্রমাণ রাখার কক্ষে প্রবেশ করে ইঁদুরগুলি বাজেয়াপ্ত করা গাঁজা খেয়েছে। আর এই দাবি সাধারণ কারও নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সের পুলিশ প্রধানের।
এসব তথ্য জানা যায়, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে।
নিউ অরলিন্সের পুলিশ বিভাগের পুরোনো অফিস ভবন এতটাই জরাজীর্ণ এবং পোকামাকড়ে ভরপুর যে প্রাণীরা প্রমাণ রাখার কক্ষে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে, বলেন পুলিশ সুপার অ্যান কার্কপ্যাট্রিক।
‘ইঁদুরগুলি আমাদের গাঁজা খাচ্ছে, তাদের নেশা পেয়ে বসেছে।’ বুধবার সিটি কাউন্সিলের সদস্যদের বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
‘দালানটির অপরিচ্ছন্নতা সীমার বাইরে।’ মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যান কার্কপ্যাট্রিক বলেন, নিউ অরলিন্স পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের ডেস্কে ইঁদুরের মল পাওয়া গেছে। দালানটিতে সংস্থাটি আছে সেই ১৯৬৮ সাল থেকে। পুলিশ সুপার জানান, তেলাপোকারা দখল নিয়েছে দালানটির।
আর ইঁদুরদের গাঁজা খাওয়াটা যে মোটেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়, তা বুঝতেই পারছেন। এদের এ অপরাধে কী শাস্তি দেওয়া যেতে পারে এটাও ভাববার বিষয়।
অরকিন পেস্ট কন্ট্রোলের গ্লোবাল টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রন হ্যারিসন বলেন, তিনিও আগে ইঁদুরের গাঁজা খাওয়ার কথা শুনেননি।
ইঁদুরেরা যখন গাঁজা খায় তখন তারা কিসের মধ্য দিয়ে যায় এমন প্রশ্নে তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, এরা মানুষের মতো একই প্রভাব অনুভব করতে পারে।
‘ইঁদুরের বায়োলজি বোঝার থেকে এবং কীভাবে এটি আমাদের সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্যপূর্ণ তা জানার থেকে, আমি মনে করি তারা কী পরিমাণ (গাঁজা) গ্রহণ করে তার ওপর ভিত্তি করে, অনেকটা মানুষের মতো অভিজ্ঞতা পেতে পারে এদের।’ বলেন হ্যারিসন।
কার্কপ্যাট্রিক জানান, সদর দপ্তরের বেহাল শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং লিফটের কারণে কর্মীদের হতাশা পেয়ে বসে।
তবে বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, পরিষ্কার করার অযোগ্য একটি জায়গা পরিষ্কারের চেষ্টা করার জন্য তারা পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।
গত বছরের অক্টোবরে নিউ অরলিন্স পুলিশের প্রধান হওয়ার পর থেকে ৯১০ জন কর্মকর্তার জন্য নতুন জায়গা খোঁজা তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় ওপরের দিকে আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।