Monday, December 23, 2024

‘এটা আমার লাস্ট বিসিএস ছিল, আমাকে মেরে ফেলেন ভাই’

আরও পড়ুন

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা কক্ষে ঢুকতে না পেরে রাজশাহীতে এক বিসিএস পরীক্ষার্থীকে সড়কে মাথা ঠুকে গড়াগড়ি দিতে দেখা গিয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রাজশাহীর সাহেব বাজার মসজিদ মিশন একাডেমি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা রয়েছে পিএসসির। নওগাঁ থেকে ফাহাদ ফয়সাল যখন রাজশাহীতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পৌঁছান তখন সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিট। অর্থাৎ পিএসসি নির্ধারিত সময়েরও আরও ১০ মিনিট অতিক্রম করে।

আরও পড়ুনঃ  সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, ছেলের নির্মম মারধরে বাবার মৃত্যু

এতে করে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ দেখতে পান তিনি। পরে গেটে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করেন তাকে ভেতরে প্রবেশের জন্য, কিন্তু তারা কোনোভাবেই রাজি নয়। পরে সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে রাজশাহীর সাহেব বাজার মসজিদ মিশন একাডেমির সামনে দেখা যায় ফাহাদ প্রধান ফটক টপকে ভেতরে প্রবেশ করছেন। তিনি ভেতরে যাওয়ার পর দু’জন পুলিশ তাকে ধরে ফেলে কেন্দ্র থেকে বের করে আনে। এ সময় ফটকের বাইরে থেকে এক নারী ‘ঢুকতে দেন প্লিজ’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পুলিশ বের করে দেয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে ফাহাদ রাস্তায় শুয়ে মাথা ঠুকে আহাজারি করতে করতে বলতে থাকেন, ‘এটা আমার লাস্ট বিসিএস, আমাকে মেরে ফেলেন ভাই।’ এতে করে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য নতুন প্রধান হিসেবে আলোচনায় যিনি

তখন একজন পুলিশ সদস্য এসে তাকে বলেন, ‘এই ভাই, ওঠেন।’ পরে উঠে ফাহাদ প্রধান ফটকের কাছে পড়ে থাকা কলম আর প্রবেশপত্র নিতে আসেন। আবারও তিনি রাস্তায় হাত আর মাথা ঠুকতে থাকেন। ফাহাদ বলেন, ‘আমি মরে যাব। আমি মরে যাব। আমার লাস্ট বিসিএস ছিল এটা।’

পরে এক ব্যক্তি ফাহাদকে ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশের বাধায় তিনিও ব্যর্থ হন। একই সময় কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকেরা বলেন, ‘পরীক্ষা তো এখনো শুরু হয়নি। ছেলেটাকে ঢুকতে দেয়া উচিত ছিল।’ কিছুক্ষণ পরে ফাহাদ সেখান থেকে চলে যান। ফাহাদের নিবন্ধন নম্বর ছিল-১২০২৬০০২।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ