Tuesday, May 6, 2025

বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ‘র’, আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিকের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

আরও পড়ুন

আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ২৭ ফেব্রুয়ারি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW)-এর একদল কর্মকর্তা বাংলাদেশে ভিন্ন নামে ও ভিন্ন পরিচয়ে প্রবেশ করেছে।

এর আগে (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫) এক ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী, ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৬ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকায় আসেন। ভারতীয় হাইকমিশন তাদের সফরের ব্যবস্থা করে। উদ্দেশ্য ছিলো, বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) এবং ডিজিএফআই (প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা)-এর সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করা।

আরও পড়ুনঃ  ভেরিফিকেশনে গিয়ে বাবাকে আটক, ৮ বছর পর ফয়সালের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গল্প সিনেমাকেও হার মানায়

তথ্য যাচাই করে জানা গেছে, ৬ নভেম্বর ২০২৪, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ২২৭-এ র-এর উপদেষ্টা ও পরিচালক পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা—আশোক কুমার সিনহা এবং কনজক তাশি খামপা ঢাকায় আসেন। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান।

আশোক কুমার সিনহা ও কনজক তাশি খামপা ভারতের আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) কর্মকর্তা। আশোক ২০০৭ সালে এবং কনজক ২০১৩ সালে র-এ ডেপুটেশনে যোগ দেন।

এর আগে, আশোক কুমার সিনহা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ও ১০ নভেম্বর ২০২৩-এ এক দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  পিনাকী হিন্দু নামধারী ইসলামী সন্ত্রাসী: তসলিমা নাসরিন

মূলত, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে গোয়েন্দা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তারা ঢাকায় আসেন। তবে, আগের সফরগুলোর তুলনায় এবার ভিন্ন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তারা।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোস্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোনো বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই। এমনকি, বাংলাদেশে র-এর ‘কভার’ ও ‘ডিপ কভার’ অপারেটরদের নিষ্ক্রিয় করার পরামর্শও দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায়, এই কর্মকর্তারা হতাশ হন, যা হোটেল আমারী, গুলশান-২-এ তাদের অবস্থানকালে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার থেকে স্পষ্ট হয়। ৮ নভেম্বর ২০২৪, এই দুই র কর্মকর্তা ঢাকা ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে নির্বাচনের চেয়ে দেশের সংস্কারের প্রতি বেশি মনোযোগী

উল্লেখ্য, র-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেপুটেশন সাধারণত ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ