জার্মানির মিউনিখ শহরে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চাপার ঘটনায় কমপক্ষে ২৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ হামলা।
মিউনিখে এমন হামলায় আমরা হতবাক।’ তিনি বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন, ‘অপরাধীকে অবশ্যই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’ সেই সঙ্গে, বাভারিয়া রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মার্কাস সোয়েডার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সম্ভবত একটি হামলার ঘটনা।’ গাড়িটি একজন সন্দেহভাজন আফগান আশ্রয়প্রার্থী চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা। খবর আলজাজিরার।
এ ঘটনার পর আগামী সপ্তাহের ফেডারেল নির্বাচনের আগে নিরাপত্তার বিষয়টি ফের জোরদার করা হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ বিশ্বনেতারা দক্ষিণ জার্মান শহরে পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা আগে এই ঘটনা ঘটে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের জন্য তাদের দেশটিতে পৌঁছানোর কথা।
সর্বশেষ পুলিশ প্রতিবেদন অনুসারে, এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মঘটরত শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় একটি সাদা ছোট গাড়ি পুলিশের গাড়িকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়ে লোকজনকে চাপা দেয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে একটি গুলি চালানো হয় কিন্তু তাতে সে আহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৪ বছর বয়সী গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার মোটিভ তাদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানান তারা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের অনুরোধে, মিউনিখের জেনারেল প্রসিকিউটরের অফিসের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম ফরহাদ নূরী।
এদিকে বাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম হারম্যান জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি মাদক ও চুরির অপরাধে পুলিশের কাছে নথিভুক্ত ছিলেন। হারম্যান বলেন, তার আশ্রয় আবেদন নাকচ করা হয়েছে। তবে নিজ দেশে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকায় তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়নি।