Thursday, June 19, 2025

‘দেশে পরী*ক্ষিত দেশপ্রেমিক শ*ক্তি দুটি, একটি সেনাবাহিনী আরেকটি জা*মায়াত’

আরও পড়ুন

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, এর একটা সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের কাছে ইজারা দিয়েছিল। ক্ষমতার জন্য ষড়যন্ত্র করে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বিডিআরের।’

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় রংপুরের পাগলাপীরে জামায়াত আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। এর আগে উত্তরবঙ্গ সফর উপলক্ষে রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন জামায়াত আমির।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পেছনের দরজা দিয়ে ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসে। তার দুই মাস পূরণ না হতেই পরের মাসেই আমরা লক্ষ করলাম, বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় তারা ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

আরও পড়ুনঃ  ২২ বছর পর নিখোঁজ পর্বতারোহীর অক্ষত মরদেহ উদ্ধার

তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করলো। হত্যা করে লাশ ড্রেনে ভাসিয়ে দিলো। সঙ্গে সঙ্গে পিলখানার চতুর্দিকে রাতের বেলা বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে খুনিদের পালানোর ব্যবস্থা করে দিলো। বিডিআরের লোকদের দফায় দফায় অ্যারেস্ট করলো। সাড়ে ১৬ হাজার বিডিআর জাওয়ানকে জেলে নিয়ে গেলো। জেলের ভেতর সাড়ে তিনশর অধিক অফিসার ও সৈনিক মারা গেলো।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্র করলো আওয়ামী লীগ, আর জীবন গেলো বিডিআরের। আওয়ামী লীগ একটি ষড়যন্ত্রকারী দল। একটি বাহিনীকে শেষ করে দিলো তারা। সেনাবাহিনীর কোমর ভেঙে দিলো। এরপর জামায়াতে ইসলামীর গায়ে হাত দিলো।’

ডা. শফিক বলেন, ‘এ দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, একটা সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াতে ইসলামী। আগেই সেনাবাহিনীর ক্ষতিসাধন করেছে। জামায়াতকে তছনছ করে দিতে পারলে তারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। তারা জমিদার হয়ে পড়বে আর দেশের মানুষকে তারা ভাড়াটিয়া বানাবে। এভাবেই ষড়যন্ত্র করেছিল তারা। কিন্তু মালিক বাড়ি ছেড়ে পালায় না। ভাড়া দিতে না পেরে ভাড়াটিয়া পালায়। এখন কে পালিয়েছে, ভাড়াটিয়ারা পালিয়ে গেছে।’

আরও পড়ুনঃ  মুসলিমদের হ'ত্যার হু'মকি ভা'রতীয় যুবকের ভিডিও বার্তা

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কার্যত এ দেশকে ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল। আমরা এ দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান চারটি ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করি। হিংসা-বিদ্বেষ নেই বললেই চলে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই দৃষ্টান্ত পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে আমরা শিখেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ধর্মের ভিত্তিতে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু হিসেবে এ দেশের মানুষকে আখ্যায়িত করেছে।’

জামায়াত আমির বলেন, ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তারা সংখ্যালঘু বলে যাদের জন্য মায়াকান্না করেছিল তারাই তাদের জায়গা-জমি অন্যায়ভাবে সব দখল করে রেখেছিল। তাদের সম্পদের ওপর হাত দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের ইজ্জতের ওপরেও হাত দিয়েছে। এই সময়ে এসে তারা (আওয়ামী লীগ) মায়াকান্না করে এবং দোষ চাপায় এ দেশের দেশপ্রেমিক মানুষ বিশেষ করে যারা নিষ্ঠাবান মুসলমান তাদের ওপরে।’

আরও পড়ুনঃ  ৭০ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় যারা

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমান বেলাল, এ টি এম আযম খান, এনামুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ