Thursday, July 24, 2025

অন্তর্বর্তী সরকারের চার মাস : বেসামাল বাজার, বাড়তি চাপ অপপ্রচারে

আরও পড়ুন

আজ চার মাস পূর্ণ হচ্ছে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পলায়নের পর গত ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নানা চ্যালেঞ্জ আর সংকটের মধ্যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের গুরুদায়িত্ব এই সরকারের ওপর। ১০টি সংস্কার কমিশনের রাষ্ট্রের ১০টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির কাজ চলমান। কালের কণ্ঠ’র করা প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত-

আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার হাতে পৌঁছাবে। তথ্যপ্রবাহে আগের মতো বাধা নেই। তবে দেশে কবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো অস্পষ্ট। রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের মুখেও সরকার এ বিষয়ে পথনকশা ঘোষণা করেনি।

এ নিয়ে দলগুলোর অস্বস্তি বাড়ছে। এই অবস্থার মধ্যে চলমান প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন। বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পলায়নের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে বেশ সরব ভূমিকায় রয়েছে ভারতের গণমাধ্যম, যা অতিরঞ্জিত এবং সংঘবদ্ধ অপপ্রচার বলে প্রমাণ হচ্ছে।

গত ২৫ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারতের আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়; যদিও এই হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু তারপরও চলছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী দলগুলোর আগ্রাসী প্রতিক্রিয়া।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এক কাতারে দাঁড়িয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো। দেশের অস্তিত্ব রক্ষা এবং অপপ্রচার ও আগ্রাসন ঠেকাতে দলগুলো সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ওই বৈঠকের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ‘মুক্ত স্বাধীন নতুন বাংলাদেশকে’ মুছে দিতে ‘কল্পকাহিনি’ প্রচার করা হচ্ছে মন্তব্য করে রাজনৈতিক দলগুলোকে তা ঠেকাতে একজোট হওয়ার আহবান জানান।

রাজনৈতিক নেতাদের মূল্যায়ন

সরকারের চার মাসের সাফল্য-ব্যর্থতা সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু গতকাল শনিবার বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর পৃথিবীর যেকোনো দেশেই অরাজকতা তৈরি হয়। সে জন্য গণ-অভ্যুত্থানের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করার দরকার ছিল সেভাবে পারেনি। বাজার পরিস্থিতিও বেসামাল। সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ভয়ংকর হয়ে উঠছে রাতের ঢাকা, ৩ এলাকা 'অপরাধের হটস্পট'

তবে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ইতিবাচক। তা ছাড়া ভারতের আগ্রাসী ভূমিকার বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার বিষয়ে এই সরকারের উদ্যোগও প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে একমাত্র জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে।

জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চার মাস অতিবাহিত করতে পারাটা অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সফলতা বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠনসহ সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট চলে আসবে। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে নির্বাচনী পথনকশা প্রণয়ন করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে গোটা নির্বাচনীপ্রক্রিয়া শুরু করা গেলে এখন যেটুকু আস্থাহীনতা আছে তা কেটে যাবে।

তিনি আরো বলেন, নানা ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ রাস্তায় নামায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। এরপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এই অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের পরাজয়কে মোদি সরকার নিজেদের পরাজয় বলে মনে করায় এবং ভারতে নানা কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সীমান্ত এলাকায় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দলগুলোর সমাবেশ, ত্রিপুরায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তিরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে পাঠানোর দাবি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিষয় সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘গত চার মাসে কিছু কালাকানুন বাতিল ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশসহ বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সফলতা। তবে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল।

আরও পড়ুনঃ  হঠাৎ বিকট শব্দে ক্লাসরুমে ধসে পড়ল ভীমসহ পলেস্তরা, আহত ৫

এর মধ্যে ছিল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, নিহত ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন এবং দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনকারী শক্তিগুলোকে আস্থায় নিয়ে সরকারের এই কাজটি করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সরকার সেই কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় জনগণ, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের আস্থাহীনতা বেড়েছে। বাজারব্যবস্থা সংস্কারে উদ্যোগ না নিয়ে পুরনো ব্যবস্থা বহাল রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

এতে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। এ ছাড়া সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য সংস্কার কাজগুলো চিহ্নিত না করতে পারায় জনমনে হতাশা বেড়েছে। এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফাালন নতুন সংকট তৈরি করেছে। সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

শিক্ষাঙ্গনে পুরোপুরি শৃঙ্খলা ফেরেনি

দেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। তবে শিক্ষা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত দেশের প্রায় সব পরিবার। কিন্তু সেই শিক্ষা খাতে এখনো পুরোপুরি শৃঙ্খলা ফেরেনি। নানা ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে দাবি আদায়ে সড়কে নামছে। একাধিকবার সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়েছে। এমনকি শিক্ষা প্রশাসন এখনো ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

আগামী বছর থেকে পাঠ্যপুস্তক ফিরে আসছে পুরনো শিক্ষাক্রমে। পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করা হয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস। বাদ দেওয়া হয়েছে অতিরঞ্জিত সব বিষয়। এরই মধ্যে পাণ্ডুলিপি পরিমার্জন শেষ হয়েছে। তবে এখনো সব বই ছাপার কাজ শুরু হয়নি। যে গতিতে কাজ চলছে তাতে আগামী বছরের শুরুতে সব বই হাতে পাবে না শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেন। ফলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েরই উপাচার্য পদ পূরণ করা হয়েছে। তবে এখনো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য রয়েছে।

স্কুল-কলেজ স্বাভাবিকভাবেই চলছে। কিন্তু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। আবারও বেড়েছে প্রাইভেট-কোচিংয়ের দৌরাত্ম্য। শিক্ষকরা তাদের নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে এখনো সরব রয়েছেন। পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করলেও মাঠে রয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজ।

জনপ্রশাসনে চার মাসে পদোন্নতি ৭৬৮ জনের

গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশের আভিযানিক ও গোয়েন্দা কার্যক্রম থেকে শুরু করে পুলিশের রুটিন কাজকর্ম পুরোদমে চলছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশ টহল দিচ্ছে, চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। গ্রেপ্তার হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা। উদ্ধার হচ্ছে মাদকদ্রব্য। অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে ডাকাত, ছিনতাইকারী।

আরও পড়ুনঃ  ঘূর্ণিঝড় রিমাল আক্রান্ত অঞ্চলে মিনিট ও ডাটা ফ্রি দিচ্ছে গ্রামীণফোন

ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমেও গতি ফিরেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ট্রাফিক পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে দুই হাজার ৭৩৯টি মামলা করেছে। এ ছাড়া অভিযানকালে ৪৬টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭০টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

রাস্তায় নেমেছে এবং হঠাৎ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সরকার এ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে বিক্ষোভ মোকাবেলা করেছে। বিক্ষোভ দমন করতে খুব কমই বল প্রয়োগ করা হয়েছে। গার্মেন্টস খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট কিছু কারখানা মালিক গাঢাকা দিয়েছেন, ফলে সরকারকে প্রতিদিনই সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবে সরকার সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়ে অস্থিরতার অবসান ঘটিয়েছে। কিছু জায়গায় এখনো সমস্যা রয়ে গেছে, তবে তা রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারেনি।

শফিকুল আলম ভয়াবহ বন্যা ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সামাল দেওয়া বিষয়ে উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকটি বিধ্বংসী বন্যা এবং মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে। আনসার সদস্যদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে, কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। এ ছাড়া নতুন রোহিঙ্গা সংকট এত নিঃশব্দে সামাল দেওয়া হয়েছে যে কেউই তা বুঝতে পারেনি।

সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে নজিরবিহীন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। মাদরাসার ছাত্র থেকে শহুরে অভিজাত, নারীবাদী থেকে দক্ষিণপন্থী—সবাই এই বিতর্কে অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন নতুন সেমিনার ও আলোচনার আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিহাস নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। চিন্তা-ভাবনা গভীরভাবে ভাগ করা হচ্ছে এবং আলোচনা করা হচ্ছে। তরুণ তারকারা জাতীয় মঞ্চে তাদের আগমন ঘোষণা করেছেন। পুরনো তারকারা নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এমন কিছু সেরা বই দেখা যাবে, যেগুলো আমাদের সমাজের কাঠামো নিয়ে গভীর আলোচনার ভিত্তি গড়তে পারে।’

শফিকুল আলম তার লেখায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য, সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ