বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি ছেড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ই-মেইল ও ডাকযোগে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তারা। পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করেন তারা।
চাকরি ছাড়ার কারণ জানিয়ে আবু হোসেন জানান, গত মাসে নিয়োগপত্র পাওয়ার পর থেকে অফিসে সময় দিতে পারিনি। সংসার নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। এজন্য অফিসে সময় না দিয়ে মাস শেষে বেতন নেয়া দৃষ্টিকটু লাগে। যার কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।
এর আগে ৯ অক্টোবর আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আারেক ভাই আবু হোসেনকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।
এদিন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি।
গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ। আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর সারাদেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
আবু সাঈদের মৃত্যুর পর তার মা মনোয়ারা বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘তুই মোর ছাওয়াক চাকরি না দিবু না দে।’ মনোয়ারা বেগমের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।