Monday, December 23, 2024

পরাজয় মেনে নিলেন শেখ হাসিনা

আরও পড়ুন

ছাত্র ও জনতার ২৩ দিনের দেশ কাঁপানো আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তার টানা সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের বিপুল সায় নিয়ে তিনি ক্ষমতায় বসেছিলেন। এরপর নিজের শাসনামলে আর কোনো গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন তিনি হতে দেননি।

আরও পড়ুনঃ  ‘বাঁচতে চাইলে বাপের থেকে টাকা নিয়ে আয়’—স্ত্রীকে ইবি শিক্ষক

বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নীরবতা ভাঙলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তিকে দায়ী করেছেন। তার সেই বার্তাটি নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।

দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদন বলছে, পরাজয় মেনে নিয়ে সমর্থক ও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি দেশে ফেরায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।

পরাজয় মেনে নিয়ে তিনি বলেন, আমি শিগগিরই ফিরে আসব ইনশাআল্লাহ। পরাজয় আমার, কিন্তু জয় বাংলাদেশের জনগণের।

আরও পড়ুনঃ  ছড়িয়ে পড়ল আ.লীগ নেতার ৫ মিনিটের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও

শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম, আমি তোমার জয় নিয়ে এসেছি, তোমরা আমার শক্তি, তোমরা আমাকে চাওনি, আমি নিজেই তখন চলে গেলাম, পদত্যাগ করলাম। আমার কর্মী যারা আছেন, কেউ মনোবল হারাবেন না। আওয়ামী লীগ বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার কথাকে বিকৃত করার অভিযোগও করেছেন।

তিনি বলেন, আমি আমার তরুণ ছাত্রদের কাছে আবারো বলতে চাই, আমি তোমাদেরকে কখনো রাজাকার বলিনি…আমার কথাগুলো বিকৃত করা হয়েছে। একটি মহল আমার বিপদের সুযোগ নিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  উপদেষ্টা পদমর্যাদায় নিয়োগ পাওয়া খলিলুর রহমানের পরিচয়

‘রাজাকার’ শব্দটি বাংলাদেশে অবমাননাকর বলে বিবেচিত হয়। কারণ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ