Monday, December 23, 2024

শিকারির ফাঁদে পা দিবেনা জামায়াত শিবির

আরও পড়ুন

নির্বাহী আদেশে গতকাল জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ আদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে না দলটি। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জামায়াত নেতারা মনে করেন, নিষিদ্ধ ঘোষণা তাদের জন্য একটি ফাঁদ। তারা যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় বা রাজপথে কর্মসূচি পালন করে তাহলে সরকার চলমান ছাত্রদের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিবে।

সূত্রটির দাবি, কোটা বিরোধী আন্দোলনে সংঘাত-সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের কোনো নেতাকর্মী নিহত হননি। শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ঈদের রাতে অন্ধকার পথে দুই যুবককে নৃশংসভাবে খুন

এ ছাড়া, সারা দেশে কিছু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। কোটা আন্দোলনের ঘটনায় ঢাকায় গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়ে গত ৩১শে জুলাই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে প্রথম আলো। এতে তখন পর্যন্ত ডিএমপি’র গ্রেপ্তারের হিসাব দিয়ে বলা হয়, ২৪৩ মামলায় ২৬৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ২২৮৪ জনের রাজনৈতিক পরিচয় নেই। বিএনপি’র নেতাকর্মী ২৬৯ জন, জামায়াত ও শিবিরের ৭৩ জন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জন্য জামায়াত বরাবরই সমালোচিত। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়।

আরও পড়ুনঃ  নরসিংদীতে চাঁদা না দেয়ায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি

এই বিচারের রায়ে জামায়াতের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। নিবন্ধন না থাকায় জামায়াতের গত তিনটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল না।

দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বেশির ভাগ কার্যালয়ই বন্ধ অনেক বছর ধরে। দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া এতদিন জামায়াত-শিবিরকে প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচিও পালন করতে দেয়া হয়নি। কার্যত অনেকটা নিষিদ্ধই ছিল দলটি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ