২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিলের ফলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করার পর কোটা আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা আমাদের উচ্চপদস্থদের নেতৃবৃন্দের সাথে সাথে কথা বলেছি। ছাত্রলীগের নির্দেশনা ছাড়া কেউ আন্দোলনে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
গতকাল ৬ জুলাই রাত ১০টায় ঢাবির মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিলের ফলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করার পর কোটা আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা আমাদের উচ্চপদস্থদের নেতৃবৃন্দের সাথে সাথে কথা বলেছি। ছাত্রলীগের নির্দেশনা ছাড়া কেউ আন্দোলনে যাবেন না। আন্দোলন হয় সরকার দাবি না মানলে কিন্তু এখানে সরকারই চাচ্ছে কোটা না থাকুক।
সৈকত বলেন, সবসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে একটা শক্তি ছিল। এটা বিশ্বাস করতে হবে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের রাজনীতি বাংলাদেশে নতুন নয়। কিছু দলের চিন্তাই থাকে কেউ পানি ঘোলা করলে মাছ শিকার করবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ ও অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠী, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কিংবা যারা এদেশের উন্নয়ন চায় না তারা তাদের ব্যক্তিগত রাজনীতি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে তারা শাহবাগে ছাত্রলীগ ও সরকার বিরোধী স্লোগান দিবে। তাদের দাবি বৈষম্যহীনতার দাবি নয়, তাদের মূল দাবি হলো সরকার পতনের দাবি। তাদের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের দাবি। কিন্তু ছাত্রলীগ সেই সুযোগটি তাদেরকে দিবে না।
তিনি বলেন, আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগ বাধা দিচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনেও গুজব ছড়িয়েছিল। আন্দোলনে যেতে আমরা কাউকে উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করছি না। আমরা ছাত্রলীগের কর্মী স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে আপনারা মাথা কাটিয়ে চিন্তা করুন।
এদিকে, গত ৪ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলনে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন হলে অবস্থান করে হল ছাত্রলীগের নেতারা। ফলে আন্দোলনে অংশ দিতে পারছিল না হলে থাকা তারা। সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, স্যার এ এফ রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হল, বঙ্গবন্ধু হলে এ চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা এক জোট হয়ে মিছিল নিয়ে আসে হলগেটে কিন্তু ছাত্রলীগ নেতারা তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। একইসাথে হল গেট তালা মেরে দেয়। কবি জসিম উদ্দিন হলেও শিক্ষার্থীদেরকে চারতলায় আটক রাখা হয় বলে অভিযোগ জানান শিক্ষার্থীরা।