Monday, December 23, 2024

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যা থাকছে ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাবে

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাব মেনে নিতে হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় এসেছে’। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩১ মে) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বাইডেন এ আহ্বান জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিন পর্যায়ের নতুন এই প্রস্তাবে গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সুযোগ রয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। হামাসের উদ্দেশ্যে বাইডেন বলেন, ‘হামাস সবসময় বলে থাকে, তারা যুদ্ধবিরতি চায়। এখন হামাসের সামনে প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে যে, তারা আসলেই এটা চায় কিনা’।

আরও পড়ুনঃ  ম্যানহোলে নেমে ময়লা পরিষ্কার করলেন কাউন্সিলর

ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাবে যা আছে:

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এ সময়ে গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের তুলে নেয়া হবে। যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ‘নির্দিষ্ট সংখ্যক’ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তাদের মধ্যে নারী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং আহত জিম্মিরা থাকবেন। আর এর বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি থাকা কয়েক শত ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে। এ ছাড়া হামাসের হাতে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা স্লোভেনিয়ার

গাজার সব এলাকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘরে ফিরতে সুযোগ দেয়া হবে। একইসঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও বাড়ানো হবে। চুক্তির আওতায় গাজায় প্রতিদিন মানবিক সহায়তাবাহী ৬০০ ট্রাক ঢুকতে দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজাবাসীর জন্য হাজারো সাময়িক আবাসনের ব্যবস্থা করবে। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্ততায় শান্তি আলোচনা চলমান থাকবে। আলোচনা সফল হলে পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে বাদবাকি জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। তাদের মধ্যে জিম্মি পুরুষ সেনারাও থাকবেন। পাশাপাশি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ সেনাকেও সরিয়ে নেয়া হবে। পরে যুদ্ধবিরতিকে ‘স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধে’ উন্নীত করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  যেভাবে মুসলিম স্বামীর পাশে দাঁড়ালেন খ্রিষ্টান স্ত্রী

তৃতীয় পর্যায়ে জিম্মি ফেরানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করা হবে। গাজার জন্য বড় ধরণের একটি ‘পুনর্গঠন পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এর আওতায় মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় গাজা উপত্যকায় বাড়ি, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পুনর্নির্মাণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ