Monday, December 23, 2024

ফুলবাড়িয়ায় ৫০ হাজার টাকার জন্য শ্বশুর-শাশুড়ি-স্ত্রী মিলে জামাইকে হত্যা

আরও পড়ুন

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ৫০ হাজার টাকার জন্য জন্য হৃদয় মিয়াকে (২৫) শ্বশুর-শাশুড়ি-স্ত্রী মিলে বিষাক্ত পদার্থ পান করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত হৃদয় মিয়া ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাঁশদী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে। সে পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ছিল।

এই ঘটনা গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত হৃদয় মিয়ার বাবা ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাদি পক্ষের সিনিয়র আইনজীবি মোঃ গোলাম ফারুক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় এ বিষয়ে কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছেন। জানার পর আদালত মামলা তদন্তের নির্দেশ দিবেন।

আরও পড়ুনঃ  ২২ বছর পর নিখোঁজ পর্বতারোহীর অক্ষত মরদেহ উদ্ধার

মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহত হৃদয় মিয়ার সাথে আনুমানিক এক বছর আগে একই উপজেলার কাচিচুরা গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে তানজিনা আক্তারের বিয়ে হয়। হৃদয় মিয়া নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে ৫০ হাজার টাকা তার শ্বশুর খোরশেদ আলমের কাছে জমা রাখেন। গত ৫ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে হৃদয় মিয়া শ্বশুর খোরশেদ আলমের কাছে জমানো টাকা ফেরত চায়।

ওই টাকা দিবে না বলে জানালে শ্বশুর-শাশুড়ি-স্ত্রী ও চাচা শ্বশুরের সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে জোড়পুর্বক হৃদয় মিয়াকে বিষাক্ত পদার্থ পান করায়। পরে অজ্ঞান হয়ে গেলে ওই দিন ভোররাতে ভ্যান গাড়িতে করে হৃদয় মিয়াকে তার বাবার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে হৃদয় মিয়ার বাবাকে জানালে তাকে শুশুতি বাজারে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

পরে ওই চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে গত ৭ এপ্রিল২০২৪ ইং তারিখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদয় মিয়া মারা যায়। পরে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করেন।

নিহত হৃদয় মিয়া পিতা শাহজাহান মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে কে কে মেরেছে, সব আমাদের কাছে রেকর্ড করা আছে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারিদের ফাঁসি চাই।

এবিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, আদালত যদি কোন বিষয় আমার কাছে জানতে চায়। তাহলে অবশ্যই আদালতে জবাব দেয়া হবে। আদালত যদি মামলা তদন্ত করতে বলে তাহলে অবশ্যই তদন্ত করব।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ