Monday, December 23, 2024

যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

আরও পড়ুন

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদীতে খায়রুল ইসলাম (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় দু’পক্ষের আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় এলাকায় দু’গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঈশ্বরদী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত খায়রুল ইসলাম চরগড়গড়ি গ্রামের নছিম প্রামাণিকের ছেলে ও সাহাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি।

নিহতের ভাতিজা আলিফ হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে চরগড়গড়ি গ্রামের হুসেন আলী মাস্টারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, সামাদের ছেলে নুরুল ইসলাম, নায়েব আলীর ছেলে শাহীন ও ইয়ার আলী মৌলভীর ছেলে মজনুসহ ৩০-৩৫ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের আনছার আলী প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিকের গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় খায়রুল ইসলাম দু’পক্ষের বিরোধ মিটাতে গেলে রিয়াজুল ও মজনুসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন দা দিয়ে খায়রুল ইসলামের ঘাড়ের নিচে কোপ দেয়। এরপর তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুনঃ  ঝোপের ভেতর কান্নার শব্দ, কাছে গিয়ে যা দেখলেন পথচারী

চরগড়গড়ি গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে কয়েক দিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। বিকেল ৪টার দিকে আলহাজ মোড়ের পশ্চিমপাশে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন, মসলেম মন্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মন্ডল, জলিল ফকিরের ছেলে জামাত আলী ফকির, ইউসুফ আলীর ছেলে পিন্টু, শাহাদত হোসেনের ছেলে জমির উদ্দিন, জলিল ফকিরের ছেলে নাছির উদ্দিন ও রাসেল, আনছার প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিক, হানিফ হোসেনের ছেলে রব্বে হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে সানাউল্লাহ মন্ডল, হিরাজ সরদারের চেলে কহর আলী সরদার, ইয়ারুল সরদারের ছেলে আলিম সরদার, হালিম মন্ডলের ছেলে আলিম মন্ডল, মোজাম প্রামাণিকের ছেলে জিল্লু প্রামাণিক ও ইছাহক হোসেন। আহতদের ঈশ্বরদী, পাবনা ও রাজশাহী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  হত্যার পরিকল্পনা বুঝতে পেরে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন আনার

ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ মরদেহ হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ