ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার বলা হয় শাকিব খানকে। ক্যারিয়ারে দারুণ সব সিনেমা উপহার দিলেও ব্যক্তিজীবন নিয়ে কিছুটা সমালোচিত তিনি। ঢালিউড ক্যুইন অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয় তাদের দাম্পত্য কলহ।
অপুর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ ও বিচ্ছেদের পর কাজ নিয়ে ব্যস্ত দেখা গেছে শাকিব খানকে। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেছেন এ নায়ক। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বেবিবাম্পের ছবি প্রকাশ করেন বুবলী। এর একদিন পর শাকিব-বুবলী একসঙ্গে ফেসবুকে ছেলে শেহজাদ খান বীরের ছবি প্রকাশ্যে আনেন। এরপরই শুরু হয় ফের আলোচনা-সমালোচনা।
বুবলী ফেসবুকে এক পোস্টে তখন জানান, ‘এখন পর্যন্ত আমার জীবনের স্মরণীয় দুটো তারিখ ২০.০৭.২০১৮ এবং ২১.০৩.২০২০।’ এর মধ্যে ‘২০ জুলাই ২০১৮ সাল’ হচ্ছে শাকিব-বুবলীর বিয়ের তারিখ এবং ‘২১ মার্চ ২০২০ সাল’ হচ্ছে ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্ম।
এদিকে বুবলী এভাবে ছেলে ও বিয়ের তারিখ প্রকাশ করার পর শাকিব খানের সঙ্গে কলহ শুরু হয়। বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে একজন আরেকজনকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করতে থাকেন। এমনকী শাকিব খান একসময় জানান, বুবলীর সঙ্গে তার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।
শাকিব-বুবলীর এমন মন্তব্য শিরোনামে উঠে আসার পর সবাই মনে করেন, ডিভোর্স হয়েছে তাদের। এভাবেই চলছিল। কিন্তু এতদিন সবাই তাদের মধ্যকার ডিভোর্স ধরে নিলেও মূলত বিচ্ছেদ হয়নি―এমন চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়েছেন বুবলী। সম্প্রতি আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে একটি গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এ দাবি করেছেন এ নায়িকা।
অনুষ্ঠান প্রধান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাবুর প্রশ্নে ব্যক্তিজীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন বুবলী। সেখানেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শাকিবের সঙ্গে আসলেই বিচ্ছেদ হয়েছে কিনা তার। জবাবে এ নায়িকা বলেন, আমাদের (শাকিব-বুবলী) বিয়েবিচ্ছেদ ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শাকিব খানের সঙ্গে তোলা তিনটি ছবি পোস্ট করে বিয়ের তারিখ প্রকাশ করেন বুবলী। ক্যাপশনে তাদের জীবনের দুটো স্মরণীয় তারিখ জানান। এর মধ্যে একটি ছিল বিয়ের এবং অন্যটি ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মের তারিখ।