খাতা-কলমের হিসেবে অবশ্য এ ম্যাচে যোজন যোজন এগিয়ে ফিলিস্তিন। র্যাঙ্কিংয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে একটা পয়েন্ট পেতে হলে অসাধারণ কিছু করে দেখাতে হতো জামাল ভূঁইয়াদের। শুরুর দিকে বাংলাদেশ খেলেছেও ভালো। স্বপ্নের মত কাটলো প্রথম ৪০ মিনিট। শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের বিপক্ষে এরপর আর পেরে উঠেনি। তাসের ঘরের মতো রক্ষণভাগ ভেঙে পড়ে। তাতেই ফিলিস্তিনের কাছে লাল-সবুজের দলকে বরণ করতে হল ৫-০ গোলের বড় পরাজয়।
এটাই ফিলিস্তিনের কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ ২-০ গোলে হার ছিল। আর বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিন প্রথম জয় পেল। চার দলের মধ্যে ফিলিস্তিন চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। আর বাংলাদেশ তিন ম্যাচে এক ড্র ও দুই হারে সবার নিচে অবস্থান। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্টে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। ২ পয়েন্টে তিনে লেবানন।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের মাঠে খেলার সুযোগ নেই। কারণ তাদের দেশে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাই কুয়েতকেই নিজেদের হোম ভেন্যু বানিয়েছে ফিলিস্তিন। তবে প্রতিপক্ষের ভেন্যু কুয়েতের জাবেদ আল-আহমাদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রবাসীরা এসেছিলেন লাল-সবুজ দলকে সমর্থন করতে। তাদের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশ শুরুটা খারাপ করেনি।
প্রথমার্ধে বেশ লড়াই করে বাংলাদেশ। তবে শেষ মুহূর্তে ফিলিস্তিনিদের আটকে রাখতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। রক্ষণের ভুলে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ওদে দাবাঘ গোল করে ফিলিস্তিনকে এগিয়ে দেন। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শিহাব কামাবার। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বিরতি থেকে ফিরে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ডিফেন্স। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান শিহাব। এর ৪ মিনিট পর আবারও বাংলাদেশের জালে বল জড়ায় ফিলিস্তিন। দাবাঘ নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। সেই সঙ্গে দলকে এনে ৪-০ গোলের লিড।
ম্যাচের ৭৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন দাবাঘা। তার হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলের লিড পায় ফিলিস্তিন। এরপর আরও বেশকিছু আক্রমণ করে তারা। শেষদিকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় ৫-০ গোলের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফিরতি লেগে ২৬ মার্চ কিংস অ্যারেনায় আবারও মুখোমুখি হবে এ দুই দল।