গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয়েছিল মেয়ের। বিয়ের এক বছর পার হতে না হতেই শ্বশুরবাড়ি থেকে আসে মৃত্যুর খবর। ব্যস! মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা হামলা করল শ্বশুরবাড়িতে। একপর্যায়ে তাদেরই ধরিয়ে দেওয়া আগুনে ঘরের মধ্যে দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণ হারানো পুত্রবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি।
ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে এক নারীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরে তার পরিবার তার স্বামীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এবং তার শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যা করেছে বলে মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে।
ওই নারীর নাম আংশিকা কেসারওয়ানি। সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে আংশিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এনডিটিভি বলছে, আংশিকার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই তার আত্মীয়রা তার শ্বশুরবাড়িতে ছুটে আসে এবং যৌতুকের জন্য এই তরুণীকে হয়রানি করার অভিযোগ তোলে। ঝগড়া বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে আংশিকার আত্মীয়রা তার শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আগুন নেভানোর পর তার শাশুড়ি ও শ্বশুর দু’জনকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
প্রয়াগরাজ শহরের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ দীপক ভুকার বলেছেন, একজন নারী মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর উভয় পক্ষের লোকজনকে মারামারি করা অবস্থায় দেখতে পায়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে লোকজন ওই নারীর শ্বশুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচজনকে উদ্ধার করে এবং ফায়ার ব্রিগেডে খবর দেয়। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ভোর ৩টার দিকে আগুন নিভিয়ে ফেললে পুরো বাড়ি তল্লাশি করা হয় এবং সেখান থেকে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দু’জনকে আংশিকার শ্বশুর রাজেন্দ্র কেসারওয়ানি এবং তার শাশুড়ি শোভা দেবী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।