Monday, December 23, 2024

মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্র-চাপাতি হাতে যুবকদের কাণ্ড

আরও পড়ুন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও ধারালো অস্ত্র দিয়ে একজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ সংক্রান্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ একাধিক ভিডিও ক্লিপ চ্যানেল 24 এর হাতে এসেছে।

জানা যায়, মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডে একটি ভবনে সাবেক এমপি বিপ্লব অবস্থান করছে এমন দাবি করে জোরপূর্বক ধারালো অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন প্রবেশ করতে চায়, ওই সময়ে তাদের বাধা দেয়ায় মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তার দায়ের করা মামলায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক দোলনকে (৪২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ জানায়, শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিনগত রাতে তাকে মোহাম্মদপুরের মকবুল হোসেন কলেজের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  রাতে বিধবার বাড়িতে কিশোর, আটকে ১৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গেলো শুক্রবার দুপুরের দিকে গ্রেপ্তারকৃত ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক দোলনসহ বেশ কয়েকজন সাবেক এমপি বিপ্লবের বাসায় জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করে। এই সময়ের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে এতে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়।

পরে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে মধ্যরাতে মোহাম্মদপুর থানায় এসে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা (মামলা নং-৪৩) দায়ের করেন। এই মামলায় এজহারভুক্ত কাইয়ুম হোসেন, মো.শাহিন, নাসির ও সাব্বির পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জন আসামি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ছাগলকাণ্ডে সেই মতিউরকে ওএসডি

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নুরজাহান রোডের ৩৮ নম্বর বাসায় কয়েকজন ব্যক্তি জোরপূর্বক বাসায় ঢুকে। কিছুক্ষণ পরে তাদের বেশ কয়েকজনের হাতে ধারালো চাপাতি দিয়ে আশপাশের লোকজনকে কোপাতে উদ্যত হয়। ভয়ে তখন আশপাশের লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এ সময় মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক দোলনসহ বেশ কয়েকজন। পরে তারা মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি নামাজ পড়ে ফেরার সময় আশপাশের লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ৩৮ নম্বর বাসায় প্রবেশ করেন। সেখানে তারা এই বাসায় এমপি বিপ্লব আছে বলে জানায়। মামলার বাদী মোহাম্মদ আলী তাদের বলেন, এটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ আপনারা কেন বাসায় এসেছেন।

আরও পড়ুনঃ  ছুটি চেয়েও পাননি, কর্মরত অবস্থায় প্রাণ গেল মাদ্রাসা শিক্ষকের

এ সময় বেশ কয়েকজন চাপাতি দিয়ে তাকে ধাওয়া করে এবং একপর্যায়ে তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কাঁধে কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নিয়ে গেলে তার কাঁধে ২৫টি সেলাই দেন চিকিৎসক।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ