২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠা হত্যাযজ্ঞের মাস্টারমাইন্ড হলেন শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, তিনিই (শেখ হাসিনা) সেদিন সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় যেতে ডাক দিয়েছিলেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দেশজুড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠা তাণ্ডবে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর শাখার আমির আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, মৃত মানুষের উপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের নৃত্য করার দৃশ্যবিশ্ববিবেক বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে দেখেছিল। সেদিন ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা আল্লাহর রাসূলের নেতৃত্বের অনুসারীদের মতো আমাদের নেতাদের সামনে মানবঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
তিনি বলেন, একাত্তর সালের মিমাংসিত বিষয় নিয়ে যদি দীর্ঘকাল পর বিচার করতে পারে আওয়ামী লীগ, তাহলে ২০০৬ সালের লগি-বৈঠা হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করা যাবে না।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীনতার চেতনায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে নিতে হলে ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। এদেশে খুনিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না, শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী। কক্সবাজার শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম,
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, শহর জামায়াতের নায়েবে আমির কফিল উদ্দিন চৌধুরী, পেশাজীবী শাখা সেক্রেটারি কামরুল হাসান, শহর জামায়াত সাংগঠনিক সেক্রেটারি দরবেশ আলী, শহর শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি সরওয়ার কামাল সিকদার এবং সদর সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।