স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নেয়ার যে রুটিন প্রকাশিত হয়েছিল তা বাতিল হতে পারে। সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র এমনটি জানিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।
জানা গেছে, এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো দিতে চাচ্ছেন না পরীক্ষার্থীরা। তারা বোর্ডে গিয়ে পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাস বা অটোপ্রমশন দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় শান্ত করার চেষ্টা করেও বোর্ডের কর্মকর্তারা তা করতে পারেননি।
সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের বোঝানোর এক পর্যায়ে শিক্ষা বোর্ডের কর্তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে সিনিয়র সচিব রুটিন বাতিলের বিষয়টি জানান। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এ বিষয়ে সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সভা হওয়ার কথা আছে। শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা ওই সভায় অংশ নেবেন। ওই সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তাই এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যায় না।
সরকার পতনের জেরে বিভিন্ন থানা হেফাজতে প্রশ্ন পুড়ে যাওয়া শেষ করা যায়নি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো গত ১১ আগস্ট থেকে শুরু করার কথা থাকলেও তা হয়নি। একমাস পিছিয়ে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পরীক্ষাগুলো শুরু হওয়ার কথা আছে। তবে আর পরীক্ষায় বসতে চাচ্ছেন না পরীক্ষার্থীরা। তারা বাকি বিষয়গুলোতে অটোপাসা বা অটো প্রমোশন চাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের অনেক সহপাঠী পরীক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন। তাছাড়া বিভিন্ন থানায় রাখা প্রশ্নপত্র পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা আর বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নিতে চান না।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা আছে।