Monday, December 23, 2024

মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, বাঁধ ভেঙে ডুবছে জনপদ

আরও পড়ুন

বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মুহুরী নদীর পানি। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ফুলগাজী বাজারে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এতে মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী কলেজের ক্লাস-হোস্টেল বন্ধ

পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হবে। গতবছর এ ভাঙন স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, নদীর পানি এখনো বাড়ছে। রাত ১টা পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ফুলগাজীর তিনটি ও পরশুরামের একটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশে ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লে বাঁধের আরও কয়েকটি অংশে ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  চটের ব্যাগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বাজারে যেতে বললেন রিজভী

এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানিতে ফুলগাজী বাজার ও লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান ইউএনও।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজারে প্রায় দুই ফুটের বেশি ওঠে গেছে। দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতপুর থেকে জগতপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ