Monday, December 23, 2024

১৫ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

আরও পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ রোববার দুপুর নাগাদ আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যার পর চূড়ান্ত আঘাত আনতে পারে বলে জানানো হয়েছে। রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

এতে আরও বলা হয়, দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার ও কক্সবাজার থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এর আগে সকালে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে তীব্র ঝড়ের আভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  অস্বস্তির মাঝে স্বস্তির খবর জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো এই মহাবিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে চার নম্বর নৌ-মহাবিপদসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আরও পড়ুনঃ  ঝড়বৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা হাওয়াসহ ভারী (প্রতি ঘণ্টায় ৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (প্রতি ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ