মাত্র এক সপ্তাহ আগে যেখানে তরমুজের বাজারদর ছিল প্রতিকেজি ৮০ টাকা, সেখানে এখন মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবুও কিনতে চাচ্ছেন না কেউ। বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের রেলগেট এলাকায় তরমুজ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওযা গেছে।
ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য মতে, রমজানের শুরুর দিকে তাপমাত্রা বেশি থাকায় তরমুজের চাহিদা ছিল অনেক বেশি।
এ কারণে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হতো। তখন দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই থাকতো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবহাওয়া শীতল (ঠাণ্ডা) হওয়ায় তরমুজের চাহিদা অনেকটায় কমে যায়।
এ কারণে তরমুজের দামও কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে কমে গেছে।
এখন মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে ভালো মানের তরমুজ বিক্রি হলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
সান্তাহার রেলগেটের তরমুজ ব্যবসায়ী রাঙ্গা বলেন, পটুয়াখালী থেকে আসা তরমুজগুলো নওগাঁ আড়ত থেকে তারা প্রায় ১০ জন ব্যবসায়ী পাইকারি কিনে আনেন। এরপর রেলগেট এলাকায় খুচরা বিক্রি করেন। দাম কমার তিন দিন আগে ২৬০০ টাকা মণ দরেও যেসব তরমুজ কিনে রেখেছিলেন, এখন সেসব তরমুজ ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তরমুজের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে এখন যারা আড়ত থেকে তরমুজ কিনছেন, তারা কম দামেই পাচ্ছেন।
তরমুজ কিনতে আসা আহসান হাবীব জানান, ‘মৌসুমী ফল আর রোজার প্রথম দিকে তাপমাত্রার কারণে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু দাম বেশি থাকায় তখন কেনা হয়নি। দাম কমে গেছে শুনে কিনতে এসেছি।
তবে এখনো কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে, পিসভাবে নয়। ’
সান্তাহার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাগর খান বলেন, আড়তে আমদানি বেশি হওয়ায় আর বাজারে দাহিদা কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে তরমুজের দাম কমে গেছে। আড়তের দামের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে এখানকার ব্যবসায়ীরা তরমুজ বিক্রি করছেন।