চট্টগ্রামে হেফাজতে থাকাকালে ফ্রিল্যান্সারের কোটি টাকা সরিয়ে নেয়ার অভিযোগে নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপরজনকে তলব করে কারণ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) স্পিনা রানী প্রামানিক।
সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ সদস্য হলেন- নগর ডিবির পরিদর্শক রুহুল আমিন, উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া, শাহপরান, মইনুল হোসেন, কনস্টেবল জাহিদুর রহমান ও আবদুর রহমান।
অভিযোগকারী ফ্রিল্যান্সারের নাম আবু বকর সিদ্দিক। নগরের অক্সিজেন এলাকায় তার বাসা। তার ভাষ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি ও ফয়জুলকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার গুলবাগ আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবির দক্ষিণ বিভাগের একটি দল। সেদিন রাতে নগরের মনসুরাবাদে ডিবি হেফাজতে ছিলেন তারা।
পরদিন বিকেলে অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অধ্যাদেশে একটি নন-এফআইআর মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় ডিবি। আদালত তাদের জরিমানা করে মুক্তি দেন।
মুক্তির পর আবু বকর অভিযোগ করেন, হেফাজতে থাকাকালে তাঁর মুঠোফোন ব্যবহার করে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করে ডিবির দলটি। এ ছাড়া তাঁর বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট (ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময়) থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা) স্থানান্তর করা হয়েছে।